ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকার মিরপুরে মো. ফজলু হত্যার ঘটনায় ২৫ সাংবাদিকসহ ১৬৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই মো. সবুজ। মামলায় সাংবাদিক ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম রয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নিহতের বড় ভাই মো. সবুজ ঢাকার ভাষানটেক থানায় এ মামলা দায়ের করেন বলে ওসি ফয়সাল আহমেদ জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশের গুম খুন গণহত্যা সৃষ্টির মাধ্যমে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা অবৈধ শাসন কায়েম করেছিল। এরা পরস্পর যোগসাজসে ষড়যন্ত্রকার, লুটপাটকারী, হত্যাকারী। আসামিরা সরাসরি নির্দেশ ও নির্দেশনায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এবং প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে নিরাপরাধ শান্তিপূর্ব বিজয় উল্লাসকারী ছাত্র জনতার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ করে, ফজলুকে হত্যা করে।
সাংবাদিকদের মধ্যে নঈম নিজাম, মনজুরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত, ফরিদা ইয়াসমিন, ওমর ফারুক, মনজুরুল বারী নয়ন, সোহেল হায়দার চৌধুরী, কুদ্দুস আফ্রাদ, অরুন কুমার দে, জিহাদুর রহমান জিহাদ, আব্দুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু, সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, হায়দার আলী, আলমগীর হোসেন, মাইনুল আলম, জায়েদুল আহসান পিন্টু, কবির আহমেদ খান, নুরুল ইসলাম হাসিব, শাহনাজ শারমিনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জুনায়েদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, মা্ঈনুল হোসেন খান নিখিলসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকারকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আসামির তালিকায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তার ছেলে, গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের নামও রয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম