বেইজিং লাদাখের পর এবার প্যাংগংয়েও বিশালাকার চীনা লিপি ও মানচিত্র এঁকেছে। অঞ্চলটির ফিঙ্গার ৪ ও ফিঙ্গার ৫ এর মাঝে অন্তত ৮১ মিটার লম্বা ও ২৫ মিটার দীর্ঘ এলাকায় এসব চীনা লিপি ও মানচিত্র অংকন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে এ চিত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই দুই ফিঙ্গার পয়েন্টের মাঝে প্রচুর অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করেছে চীনা বাহিনী। মজুত করেছে অস্ত্রশস্ত্রও। ভারতীয় সেনার বরাত দিয়ে বলা হয়, গত মে মাসের গোড়ায় প্যাংগং লেক বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীন সেনা মজুতের পর থেকেই ফিঙ্গার ফোর এর পরে আর টহল দিতেও দেয়া হচ্ছে না ভারতীয় বাহিনীকে।
উপগ্রহ চিত্র থেকে এনডিটিভি যে ছবিগুলো পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এই অঞ্চলে চীনের সেনাবাহিনী অনেক বেশি সংখ্যায় মোতায়েন রয়েছে। তারাই ভারতীয় সেনাদের টহল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
যে এলাকাটি চীন এরইমধ্যে দখল করার চেষ্টা করছে, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে সেখানে কমপক্ষে ১৮৬ টি সেনা ছাউনি, আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন আকারের তাবু স্থাপন করা হয়েছে।
ভারত বিশ্বাস করে ‘ফিঙ্গার ১’ থেকে ‘ফিঙ্গার ৮’ পর্যন্ত টহল দেয়ার অধিকার রয়েছে তাদের। অপরদিকে চীন মনে করে ‘ফিঙ্গার ৮’ থেকে ‘ফিঙ্গার ৪’ পর্যন্ত টহল দেয়ার অধিকার রয়েছে তাদেরই।
খবরে বলা হচ্ছে, ১৫ জুন ‘ফিঙ্গার ৪’ এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে ভারতীয় সেনা সদস্যদের কাঁটাতারের সঙ্গে জড়ানো লাঠির মতো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল।‘ফিঙ্গার ৪’ এ এই জন্যেই উল্লেখযোগ্য হারে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে চীন; যাতে ভারতীয় সেনারা আর ‘ফিঙ্গার ৮’ এর দিক দিয়ে টহল দেয়ার সুযোগ না পায়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, শুধু প্যাংগং লেকের ধার বরাবর নয়, আরো অন্তত ৮ কিলোমিটার ভারতের দিকে ঢুকে ঘাঁটি গেড়েছে চীনা বাহিনী। গড়ে তোলা হয়েছে ১৮৬টি ছোট বড় অস্থায়ী তাবু ও কুঁড়েঘর। ফিঙ্গার ৫ এর কাছে একটি নজরদারি বিমানও দেখা গিয়েছে বলে উপগ্রহ চিত্র ব্যাখ্যা করে একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত বিবাদ ঘিরে উত্তেজনা কমাতে মঙ্গলবার কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসেছে ভারত ও চীন। এদিন ভারতের দিকে চুশুল বর্ডার পয়েন্টে বৈঠকে বসেছেন ভারতের ১১ কর্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং ও চিনা বাহিনীর জিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়নের কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন। সুত্রঃ এনডি টিভি, আনন্দবাজার।