আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলামের বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রবিবার দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণের সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও কয়েক শত ছাত্রী অংশ নেন।
জানা গেছে, আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজে মোছাঃ ফেরদৌসি আক্তার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সুন্দর সুচারুরুপে কলেজের কার্যক্রম চলছিল। গত ২৭ আগষ্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজের কমিটি ভেঙ্গে দেয়। এ সুবাদে কলেজের পদত্যাগী ও জাল সার্টিফিটকেটধারী প্রাক্তণ অধ্যক্ষ মোঃ ফোরকান মিয়া অবৈধ ভাবে মোঃ মনিরুল ইসলামকে সভাপতি ও মোঃ শাহ আলম কবিরকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য করে কমিটির প্রস্তাব করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফোরকান বিভ্রান্তি করায় তারা ওই কমিটি ঘোষনা দেন। এরপর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছাঃ ফেরদৌসি আক্তার কমিটি প্রস্তাব করেন।
এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সঠিকতা যাছাই করে পুর্বের কমিটি বাতিল করে ৫ দিনের মধ্যে সুপ্রিল কোর্টের অ্যাড. গাজী তৌহিদুল ইসলামকে সভাপতি ও অ্যাড. জসিম উদ্দিনকে বিদ্যাৎসাহী করে কমিটি ঘোষনা দেন। মনিরুল ইমলাম এ কমিটি স্থাগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালতের বিচারক ওই কমিটি স্থাগিত করে দেন। এরপর মনিরুল ইসলাম ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করেন। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক নন পদত্যাগী প্রাক্তন অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার ভগ্নিপতি শহীদুল ইসলাম নামের একজনকে শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়ন দেন।
এছাড়াও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাবিবুল্লাহ বিল্লাল থাকা সত্তেও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বর্হিভুতভাবে ফোরকান মিয়ার খালাতো ভাই অ্যাড. ইসহাক বাচ্চুকে হিতৌষী সদস্য করেন। অপর দিকে তিনি ওই কমিটি জাল সার্টিফিকেটধারী ফোরকান মিয়াকে কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পায়তারা চালাচ্ছেন।
সভাপতির এমন বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রবিবার দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছাঃ ফেরদৌসি আক্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রনব কুমার সরকার, মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ বাছির উদ্দিন, হেলেনা খানম, মোঃ বসির উদ্দিন, সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ, মোঃ কবির হোসেন ও মোঃ জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম বিতর্কীতভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক নন পদত্যাগী প্রাক্তন অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার ভগ্নিপতি শহীদুল ইসলাম নামের একজনকে শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়ন নেয়। এছাড়াও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাবিবুল্লাহ বিল্লাল থাকা সত্তেও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি বর্হিভুতভাবে ফোরকানের খালাতো ভাই অ্যাড. ইসহাক বাচ্চুকে হিতৌষী সদস্য করেন।
তারা আরো বলেন, কলেজে অরাজকতা সৃষ্টি করতে মনিরুল ইসলাম জাল সার্টিফিকেটধারী ফোরকান মিয়াকে কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পায়তারা চালাচ্ছেন। দ্রæত এডহক কমিটির সভাপতি ও কমিটি বাতিল করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন বক্তারা।
কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে পরে কথা বলবো বলে ফোনে কেটে দেন ।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:২০ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি