ডিবিএন ডেস্কঃ চালের বাজার ঊর্ধ্বগতি প্রবণতা রোধ করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি পর্যায়ে নতুন করে আরও ৫৭ ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। অনুমতি প্রদান সংক্রান্ত চিঠি গতকাল ১ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙ্গা দানাবিশিষ্ট বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল শর্তসাপেক্ষে আমদানির জন্য ৫৭ ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এই অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয় কিছু শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে মোট ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
এরমধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। তবে যেসকল আমদানিকারক এলসি খুলেছেন কিন্তু চাল বাজারজাত করতে পারেননি, তাদের এলসি করা সম্পূর্ণ চাল বাজারজাতকরণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া এলসি সম্পর্কিত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে।
এক্ষেত্রে বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে আবশ্যিকভাবে আমদানির সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে বলে ও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে চাল আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দকৃত ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।
এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার টনের চেয়ে বেশি চাল আমদানির বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।