বৈমানিক পেশায় এই পরিবারের অগ্রদূত হলেন ক্যাপ্টেন জেয় দেব ভাসিন। তিনি ১৯৫৪ সালে ভারতের ৭ জন কমান্ডারের মধ্যে ছিলেন একজন। তার ছেলেও বড় হয়ে নাম লিখিয়েছেন বৈমানিকের খাতায়। শুধু তার ছেলে ক্যাপ্টেন রোহিত ভাসিনই নন, তার পুত্রবধু নিবেদিতা জেইনও একজন বৈমানিক হিসেবে পরিবারের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যান।মাত্র ২০ বছর বয়সে নিবেদিতা ১৯৮৪ সালের ২৪ জুন ভারতের বিমান সংস্থার কাছ থেকে তার প্রথম নিয়োগপত্রটি পেয়েছিলেন। ২৬ বছর বয়সে নিবেদিতাই পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ বৈমানিক যিনি কমান্ডার হিসেবে বোয়িং ৭৩৭-তে যোগদান করেন। এরপর তিনি এয়ারবাস-৩০০ এর কমান্ডার হয়েছিলেন।
নিবেদিতা শুধু এটুকুতেই থেমে ছিলেন না। তিনি বিশ্বের প্রথম শতভাগ নারী ক্রু নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করেছিলেন। রোহিত এবং নিবেদিতার সন্তানরাও থেমে থাকেননি। তারাও তাদের পরিবারের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন। তাদের সন্তানরা হলেন: রোহান ভাসিন এবং নীহারিকা ভাসিন। রোহিত ভাসিন এবং নিবেদিতা জেইন দম্পতির মেয়ে নীহারিকা সম্প্রতি এয়ারবাস-৩২০ এর কমান্ডারের দায়িত্ব পেয়েছেন। ঠাকুরদা, বাবা-মা এবং বড়বোনের দেখা দেখি ছেলে রোহানও বৈমানিক হয়েছেন।রোহান এবং নীহারিকা তাদের বাবা-মার মতো নিজেরাও পাইলট হবার স্বপ্ন দেখতেন খুব ছোটোবেলা থেকেই। সম্প্রতি রোহান বোয়িং-৭৭৭ এর কমান্ডার হয়েছেন। পিতা-পুত্র দুজনই বোয়িং-৭৮৭ এ প্রায় ১০ বার একসঙ্গে পাইলট ও কো-পাইলট হিসেবে উড়ানোর সুযোগও পেয়েছেন।