বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্ণ করল। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম, গৌরব, ঐতিহ্য ও সাফল্য নিয়ে ৭৬ বছরে পদার্পণ করল দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্রলীগ। কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছরেও নিয়মিত কমিটি না থাকায় ও অনেক নেতাকর্মীর অনুপস্থিতির কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গতকাল বুধবার (৪ জানুয়ারি) সাদামাটাভাবে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।
এ উপলক্ষে এদিন সকাল ৯ টায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয় কিছু সদস্য, গুটিকয়েক ছাত্রলীগের সদস্য আ.লীগ দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যদিয়ে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শেষ করেন।
এ সময় উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, আ.লীগ সদস্য তারেক আজীজ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামালউদ্দিন শান্তু, ছাত্রলীগ নেতা, তামীম হোসেন, আতিকুর রহমান টিটু, আরাফাত ফরিদী হিমেল, আলেক সরকার, হরতাল হোসেন, বাপ্পি, ফারাজুল ইসলাম, মাসুদ, রোকন, হায়দার, জেটি, আনোয়ারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ঢিলেঢালা ও সাদামাটা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সংক্ষিপ্ত কর্মসূচিতে পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগার এবং উপজেলা আ.লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
ছাত্রলীগের কমিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে, উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ আ.লীগের একটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। আমরা সবসময় তাদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। কিন্তু জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জটিলতার কারণে এতোদিনেও এখানে কমিটি করা হয়নি। আমরা একাধিকবার তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ছাত্রলীগের কম উপস্থিতির ব্যাপারে তিনি বলেন, কমিটি না থাকলে তো ছাত্রলীগের প্রোডাকশন কমবেই।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
প্রসঙ্গত: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে। প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামধারণ করে। শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে পরিচিত।
ডিবিএন/ডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান