“পঞ্চব্রীহি ধান” বিডিওএসএন-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে এ এলাকায় চাষ করা নতুন এ জাতের ধানক্ষেত থেকে এর আগে একবার ফসল উত্তোলন করা হয়েছে। এ বছর দ্বিতীয় বারের মতো ফসল উৎপাদন চলছে।
জমিতে একবার চারা রোপনে পাঁচবার ফলন দেয়া পঞ্চব্রীহি ধান উদ্ভাবন করেছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী।
বিডিওএসএন-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে এ এলাকায় চাষ করা নতুন এই জাতের ধানক্ষেত থেকে এর আগে একবার ফসল উত্তোলন করা হয়েছে। এ বছর দ্বিতীয় বারের মতো ফসল উৎপাদন চলছে।
কৃষি খাতের উদ্ভাবনে বিডিওএসএন প্রথমবারের মতো কোনো গবেষণাভিত্তিক কৃষি প্রকল্প পরিচালনায় সহযোগিতা করছে, যেটি পঞ্চব্রীহি জাতের ধানের মাধ্যমে কম খরচে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
বুধবার পঞ্চব্রীহি চাষাবাদ পরিদর্শনে আসে কুলাউড়া উপজেলার দুটি উচ্চবিদ্যালয়ের অন্তত ৪০ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর গ্রামে টিলাগাঁও আজিজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ও কানিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে আসেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
সরেজমিনে এক রোপণে পাঁচ ফলন দেখে প্রথমেই নতুন জাতের এ ধানের উদ্ভাবক ড. আবেদ চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান টিলাগাঁও আজিজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘উনার এই উদ্ভাবন আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এখানে সবাই বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এসেছে। আজকে এই শিক্ষা সফর শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখায় আগ্রহী করে তুলবে।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে IVEMRVM প্রকল্প সুপারভাইজার তাহমিদ আনাম চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা সবাই এই এলাকার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। আপনাদের এই এলাকায় আমরা নতুন জাতের একাধিকবার ফলনশীল ধান নিয়ে কাজ করছি। আপনারা প্রতিনিয়ত এই কৃষি জমির দিকে লক্ষ্য করলে বিজ্ঞানের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন। এটা আপনাদের বিজ্ঞানকে জানা ও শেখার আগ্রহকে আরও ত্বরান্বিত করবে।’
পঞ্চব্রীহি মাঠের ধান পরিদর্শন শেষে গাছতলায় শিক্ষার্থীদের সামনে সমাপনি বক্তব্যে কানিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.ফজল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আজকে পঞ্চব্রীহি ধান দেখলাম। এখন আমাদের বেশিরভাগ পরিবার কৃষিকাজ করে না। কিন্তু আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আমরা যদি বাংলাদেশকে কৃষির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে আমাদের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। এখনও আমাদের দেশে যে প্রাকৃতিক পরিবেশ আছে, তা অন্যান্য দেশে নাই। তাই আমরা যদি এই প্রাকৃতিক পরিবেশ ও কৃত্রিম সাপোর্ট, এই দুইয়ের সমন্বয়ে এগিয়ে যেতে পারি এবং ড. আবেদ চৌধুরীর মত সফল মানুষ যারা, তাদের সহযোগিতা যদি পাই, তাহলে এই দেশ একদিন কৃষির মাধ্যমে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হবে।’
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি