কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের একজন ছাত্রী গুলশানের একটি বাসায় আত্নহত্যা করেছে। হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কিছু তথ্য আবিস্কার করেছে। শোস্যাল মিডিয়াতে একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে আগেই। বসুন্ধরা গ্রুপের এম ডি কথা বলেছে সেই অডিওতে। এখন পুলিশ বলছে বসুন্ধরা গ্রুপের এম ডি স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে গুলশানে ঐ বাসাটি ভাড়া নেয় এবং সি সি টি ভি’র ফুটেজে তার ঐ বাড়ীতে আসার ছবি জব্দ করেছে। এটি হত্যা না আত্নহত্যা তা নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে। ইতিমধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের এম ডি দেশ ছেড়েছেন বলে সংবাদ বেড়িয়েছে কিন্তু পুলিশ তা অস্বিকার করেছে। আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে উচ্চ আদালতে। আদালত করোনার কারনে বন্ধ থাকায় জামিনের শুনানি হয়নি। দেশ জুরে এখন এই হত্যাকান্ড নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিছু কিছু গনমাধ্যম এই ধনাঢ্য এম ডি কে আড়াল করতে কৌশলি খবর ছাপছে। কিন্তু জনগনের দাবী এই হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচার হউক। অর্থের জোরে কোন অপরাধী যেন পার না পায়।
পুলিশের রেকর্ডে একই ব্যক্তির নামে আরও একটি হত্যা কান্ডের হদিস পাওয়া গেছে। প্রশাসনকে ২১ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে সেই মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েগেছে। ঘটনা ফাস হওয়ার পর থেকেই একই তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে কিন্তু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন আইন তার আপন গতীতেই চলবে। প্রশ্ন হল, বিত্ত্বশালী হলেই কি নারী সঙ্গ বা উপপত্নি জরুরী? এই এম ডি’রওত সুন্দুরী বউ রয়েছে। সন্তান রয়েছে। তাহলে এই তরুনীকে এক লাখ টাকা বাসা ভাড়া করে রাখা হলো কেন? যারা জোর করে অন্যের জমী দখল করে তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চুরি করার যুক্তিকতা কতটুকু( অডিওতে বলাবলি হয়েছে)। যদি অপরাধী না হবে তাহলে আগাম জামিনের চেষ্টা কেন? বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার খবরই বা ভাইরাল হয় কেন? সে নীজেইত গনমাধ্যমে এসে নীজেকে নির্দোষ দাবী করতে পারে! টাকা কি আইনের উর্ধে? এভাবে বিত্ত্বশালীদের প্রশ্রয় দিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো অনৈতিক!.এই বিত্ত্বশালীরা কি সমাজকে টাকার বিনিময়ে জিম্মি করে রাখতে চায়? তা হতে দেওয়া অনুচিত হবে। এদের অপরাধ জগত সীমাহীন। অন্যের টাকা আত্নসাধ করেই এরা রাতারাতি বিত্ত্বশালী হয়। শুধু আনভিরইনা দেশে এমন অপরাধীর সংখ্যা এখন বহু। অন্তত এই বিচারটি সূষ্ঠ হউক এই প্রত্যাশা সকলের। এই বিচারের উধাহরন বিচার ব্যবস্থ্যার উপর এক অগ্নি পরীক্ষা এখন। আইনজিবীরাও অর্থের লোভে অন্যায়ের পক্ষে দাড়বেন না প্লিজ। একটা নজির স্থাপন করুন। বিবেকের কাছে নতি স্বিকার করুন। আর যেন কোন তরুনীর কোন ধনকুপের খপ্পরে পরে ফেনে ঝুলে মরতে না হয়।