আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) সম্মেলন থেকে সারন বার-লি নামের এক ইসরায়েলি নারী কূটনীতিককে বের করে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার ইথিওপিয়ায় চলমান এইউ-র বার্ষিক সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে। সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে এরপরই তাকে বের করে দেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ওই ইসরায়েলি সারন বার-লির সঙ্গে তর্ক করেছেন এইউ-র নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর তিনি বের হয়ে যান।
নিজ কূটনীতিককে বের করে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃত এবং প্রবেশ ব্যাজ থাকা সত্ত্বেও আফ্রিকা বিষয়ক উপ-পরিচালক সারন বার-লিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টিকে ইসরায়েল কঠোরভাবে দেখছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
আফ্রিকান ইউনিয়নের কমিশনের চেয়ারম্যানের মুখপাত্র ইবা কালোন্দো বলেছেন, ‘ইসরায়েলি কূটনীতিককে বের করে দেওয়া হয়েছে কারণ ইথিওপিয়ায় ইসরায়েলের দূত হিসেবে যাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তিনি ওই ব্যক্তি ছিলেন না।’ তবে এ ঘটনার জন্য আলজেরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট আফ্রিকান ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এ দু’টি দেশ। ইসরায়েল বলেছে, এইউকে ‘জিম্মি করে ঘৃণা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আলজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ ঘটনার নিন্দা জানানো হবে। তারা বলেছে, ‘ইসরায়েলের পর্যবেক্ষক স্ট্যাটাস বাতিল করার কোনো আইন এইউ-র নেই।’
এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা বলেছে, পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ইসরায়েল যে আবেদন করেছে সেটি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
যতক্ষণ পর্যন্ত এইউ ইসরায়েলকে পর্যবেক্ষক দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নিচ্ছে, ততক্ষণ ইসরায়েল সম্মেলনে বসতে পারবে না এবং পর্যবেক্ষণও করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেড অব পাবলিক ডিপ্লোমেসির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের প্রধান ক্লায়সন মোনেলা।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন