নভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে ৯৬.২% সাদৃশ্যপূর্ণ RaTG13 ভাইরাসের নমুনা হিমায়িত অবস্থায় ২০১৩ সালেই চীনের ইউনান প্রদেশ থেকে উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। সানডে টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। খবর ব্লুমবার্গ।
এদিকে সানডে টাইমসের কাছে পরিচয় গোপন করে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে চীনের ইউনান প্রদেশের একটি কপার খনিতে কাজ করতে গিয়ে কয়েকজন শ্রমিক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। পরে তাদের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হলে, তাদের দেহ থেকে প্রাপ্ত ভাইরাসের নমুনা উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়।
পাশাপাশি, বাদুড়ের দেহ থেকে তৈরি হওয়া সার্সের মতো ভাইরাসগুলোর উৎপত্তিস্থল হিসেবে গবেষণার জন্য ইউনান প্রদেশের ওই কপার খনিতে উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে শি ঝেংলি নামের এক নারী গবেষককেও পাঠানো হয়।
‘ব্যাট উইমেন’ নামে পরিচিত ওই গবেষক ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে RaTG13 ভাইরাসের সঙ্গে নভেল করোনাভাইরাসের বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ৯৬.২% মিল থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
অপরদিকে, সানডে টাইমস তাদের অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়েছে ইউনান প্রদেশের ওই কপার খনিতে কাজ করতে গিয়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের শরীরেও ছিল RaTG13 ভাইরাস।
তবে, এ ব্যাপারে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’র তরফ থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি সানডে টাইমস।
এর আগে, ২০২০ সালের মে মাসে উহানের ওই ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলেছিলেন – RaTG13 ভাইরাসের কোনো জীবন্ত নমুনা তাদের সংগ্রহে ছিল না। তাই এখান থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
যদিও, একই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন – উহানের ওই ইনস্টিটিউট থেকেই নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানো হয়েছে – এ দাবির স্বপক্ষে তার কাছে প্রচুর গোয়েন্দা নথি রয়েছে।