চীন-ভারত সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেই আচমকা লাদাখ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি নাম না করেই কড়া বার্তা দিয়েছেন চীনকে।
তবে কয়েকঘন্টার মধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিল ভারতের পড়শি দেশ চীন। প্রধানমন্ত্রী মোদির নাম সরাসরি না নিয়েই রীতিমতো হুমকি দেয়েছে বেজিং। চীনের বক্তব্য, এই মুহূর্তে কোনও পক্ষেরই উচিত নয় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করা। যদিও এদিন চীনের তরফে মোদির লাদাখ সফর নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলা হয়নি।
তবে চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান শুক্রবার (৩ জুলাই) বলেন, ‘ভারত ও চিনের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছে। পরিস্থিতি ফের নতুন গতি পেতে পারে এমন কোনও ‘অ্যাকশন’ থেকে উভয়পক্ষেরই বিরত থাকা উচিত’।
তবে কূটনৈতিক মহলের মতে মোদির লাদাখ সফরের পরই চীনের এই প্রতিক্রায় পরিষ্কার তাঁরা এই সফর ভালো চোখে দেখছে না। এর আগে ৫৯ চীনা মোবাইল অ্যাপ ব্যান করা নিয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ঝাও লিজিয়ান। এবারও ভারতে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করার অভিযোগ করলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের দেশের সীমারেখায় কোনও প্রধানমন্ত্রী যেতেই পারেন। এর মধ্যে উস্কানির গন্ধ কোথা থেকে পেল চীন? আসলে সেনাপ্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফকে সঙ্গে মোদির এই লাদাখ সফর বিশ্বের দরবারে অন্য মাত্রা দিল। বিগত কয়েকদিন ধরেই গালওয়ান উপক্যাকা ও প্যাংগং লেকের একাংশ নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। এই আবহেই লাদাখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর সেই দাবিকে নস্যাৎ করে। ফলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিল চীন প্রশাসন। সুত্রঃ কলকাতা নিউজ।