উপ নির্বাচনের প্রচারনা শুরু হয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা-কর্মীদেরকে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। যারা নমিনেশন পাননি তাদের ভুমিকা এই নির্বাচনে কি হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। নমিনেশন বঞ্চিত হলে সাধারনত নেতারা নিস্ক্রিয় হয়ে থাকেন নাহয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। আবার কেউ প্রতিপক্ষের হয়ে কাজ করেন গোপনে। দলীয় প্রর্থীকে হারিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমান করেন, ক্ষতি হয় দলের। “ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে বড় দেশ” এই দীক্ষাটি এখন আর কেউ মানেনা। সকলেই নিজেকে বড় প্রমান করতে চায়।
এই উপনির্বাচনে একটি মেসেজ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বিতর্কিত আর উত্তরাধিকারী দলের প্রার্থী হতে পারবেনা। প্রার্থী হবে কর্মী আর জনসমর্থীত নেতা। টানা তিন মেয়াদের দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের কৃতিত্ব নয়- জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। দল এবং দেশকে বাচাতে হলে এখন আওয়ামী লীগের এই শুদ্ধিকরন অত্যান্ত জরুরী। আজই সংবাদ বেড়িয়েছে আই আস আই আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাকিস্তানের আই এস আই প্রতিনিধি দুবাই থেকে যোগাযোগ রাখছেন বি এন পি- জামাত নেতাদের সংগে। বি এন পি নেতা মোশারফ হোসেন কথা বলেছেন টেলিফোনে। ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে গনমাধ্যমে। লন্ডনে তারেক জিয়ার কথাও উঠে এসেছে এই আলোচনায়। আমার লেখাতেও বার বার প্রকাশ করেছি প্রবাসে ষড়যন্ত্রের কথা। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, দেশ কোথায় যাবে পদ বঞ্চিত নেতা আর এম পি প্রার্থীরা জানেন কিনা জানিনা। কোভিড-১৯ এর এই মহামারীতে চক্রটি সংগঠিত হয়েছে জোরে শোরেই। ১২ বছরে আওয়ামী লীগের পদ দখল করে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে দিয়েছে। বি এন পি – জামাতের সদস্যরা আওয়ামী লীগের গুরত্বপুর্ন দায়িত্ব পেয়ে গেছে। বি এন পি- জামাত, আই এস আই একত্রে মিলে নির্বাচনে নেমে পরলে দলে ঢুকে পরা নেতারা তাদের আসল রূপটি ধারন করবে। এই চেষ্টা বহুদিনের। ত্যাগী নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে নিস্কৃয় হয়ে গেলে দলের সর্বনাশ হতে সময় লাগবেনা। যে যতভাবেই গোস্মা দেখাক, নেত্রী সঠিক। মাননীয় নেত্রী জেনেশুনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সময় লাগবে কিন্তু, দলের পরাগাছা ধরা পরবেই। ত্যাগী নেতা-কর্মী দের কাছেই ফিরে আসবে দল। তা নাহলে দলত বটেই, দেশকেও বাঁচান যাবেনা। আওয়ামী লীগ কর্মী নির্ভর দল, সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে এই কর্মীবাহিনী নির্যাতন সয়ে দলকে শক্তি যুগিয়েছে, সব প্রতিকুলতা মোকাবেলা করেছে। একটি অশুভ শক্তি দেশকে গ্রাস করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এমন দুঃসময়ে দলের প্রকৃত নেতা-কর্মীরা কখনোই নেত্রীকে একা ফেলে যাবেনা। এই পরীক্ষায় আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীকে জয়ী হতেই হবে।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
লেখক,গভেষক ও রাজনীতিবিদ
টরেন্টো, কানাডা
২২ সেপ্টম্বর ২০২০।