মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউপি’র জফলার ছড়ার ওপর নবনির্মিত কালভার্টটি চলাচলেও শুরু হয়নি! উদ্বোধন করবেন তারপর ব্যবহার! এরি মধ্যে আগে থেকে চারপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর প্রকল্পের আওতায় কমলগঞ্জে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পারুয়াবিল ভায়া নোয়াগাঁও গ্রামের রাস্তার জফলার ছড়ার ওপর কালভার্ট নির্মাণ শুরু হয় বেশ কিছুদিন আগে। কালভাটটি নির্মাণে চূড়ান্ত ব্যয় হয় ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩৪ টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানান, কালভার্টটির কাজ শেষ হয়েছে কিছুদিন হলো। কিন্তু কাজ শেষ হলেও ঠিকাদার কালভার্টের দুই পাশে মাটি না দিয়ে কাজ শেষ করে চলে যান। সম্প্রতি নতুন ভাবে দেখা যাচ্ছে কালভার্টটির চারপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এ দিকে ঠিকাদার কালভার্টের দুই পাশে মাটি না দেওয়ায় কারনে চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। কালভার্টে মই লাগিয়ে কোমলমতি শিশুদের পারাপার হতে দেখা গেছে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, এমন কোন অপ্রতিকর ঘটনার মুখোমুখি ও দেখার মত শক্তি নেই আশপাশের সাধারণ মানুষের অভিযোগ।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
বাসিন্দারা আরও জানান, কালভার্টের কাজটি একদম নিম্নমানের করা হয়েছে। এটি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে, ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনা। আমরা পুনরায় কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, কালভার্ট নির্মাণকালীন সময়ে নিম্নমানের কাজের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কর্ণপাত করা হয়নি।
এ বিষয়ে কালভার্টের ঠিকাদার মেসার্স জাফর আহমেদ স্বত্বাধিকারী গিলমান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কালভার্টটি এখনও ঠিকাদার আমাদের হস্তান্তর করেননি। কালভার্টের কোনো সমস্যা দেখা দিলে এর দ্বায়ভার ঠিকাদারকে বহন করতে হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। এখন জানতে পারলাম যখন তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান