হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁওজেলা প্রতিনিধিঃ উত্তরাঞ্চলে কোনো সমুদ্র নেই, তাই এ অঞ্চলের মানুষের কাছে সমুদ্র সৈকত এক স্বপ্ন। তবে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়া বাঁধটি এখন সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে এলাকার ভ্রমণপিয়াসী মানুষদের নিকট। এ বাঁধের জলরাশি আর ঢেউ যে কারো মন নিমেষেই ভালো করে দেয়ার মতো।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী বালিয়া ইউনিয়নে এ বাঁধটি অবস্থিত । এটি ১৯৯৬সালে কৃষি সেচ ব্যবস্থার জন্য নির্মান করা হয়েছিল। বর্তমানে ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে এটি এখন ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে বেশি পরিচিত। ঠাকুরগাঁও শহরের কাছাকাছি নতুন এ পর্যটনস্থানটি এরই মধ্যে ভ্রমণপিয়াসীদের অনেক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ঠাকুরগাঁওসহ পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার ভ্রমণ উৎসুক জনতা দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে পারে বলে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষার্থী নিয়ে অনেকে এখানে পিকনিক করতে আসছে। ঠাকুরগাঁও সদর থেকে যে কোন যানবাহনে উত্তরে ভূল্লী বাজার হয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের রাস্তা।
১০ জুলাই সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভ্রমণপিপাসু মানুষের ঢল। এ যেন খুশি, উৎচ্ছাস আর আনন্দের সমারোহ। কেউ বাঁধের পানিতে লাফাচ্ছে, কেউ আবার বাঁধের অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করছে। বাঁধটিতে কক্সবাজারের আদলে সবাই আনন্দ ফুর্তিতে মেতে উঠেছে। আর এ সময়টিতে এ বাঁধে সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় হয় বলে স্থানীয়রা জানান। আগতরা সেলফি বা ক্যামেরায় ছবি তুলে সেই সুন্দর সময়টি ক্যামেরা বন্দী করে রাখতে হুমড়ি খাচ্ছে।
অনেকে এ বাঁধকে আখ্যায়িত করেন মিনি কক্সবাজার হিসেবে। জলরাশির ছোট ছোট ঢেউ বাঁধের সৌন্দর্য উপভোগে অনেকেই আসেন এ স্থানটিতে। এখানে বর্ষা মৌসুমে অনেক লোকই ঘুরতে আসেন। ছোট ছোট ঢেউ আছড়ে পড়ে বাঁধের শেষ প্রান্তে। ছুটির দিনে এমন একটি স্থানে বেড়িয়ে না আসাটা দুঃখজনকই বটে।
বাঁধে বেড়াতে আসা এক দম্পতি জানান, তারা পঞ্চগড় থেকে এসেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে এ স্থানটি সম্পর্কে জানতে পারেই আসা। এখানে বেড়াতে পারায় অনেক পরিবারটি বেশ উচ্ছাস প্রকাশ করে। আগত পর্যটকদের জন্য এরই মধ্যে বাঁধের পাশ্বে এলাকায় ছোট খাবারের দোকান গড়ে উঠেছ। এই বিনোদন জলরাশির স্থানটিকে একটি বিনোদন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা।