নাজমুল হোসেন রানীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা ব্যাস্ত সময় পার করছে দোকানিরা। ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলা পোর শহরটি জেন প্রায় তিনটি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কেনাকাটা জন্য। তাই প্রচন্ড রোদ গরমকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জামা কাপড় গহনাসহ বিভিন্ন ধরনের ঈদের জিনিস পত্র ক্রয় করছে ক্রেতারা। দোকানদাররা রাত জেগে ব্যস্ত রয়েছে। টেইলাররাও রাতে দিনে সমান তালে সেলাই করছে পায়জামা, পাঞ্জাবী, থ্রিপিচ সহ ছোটদের বড় নানা ধরনের পোষাক। জেলার সব উপজেলা থেকে রানীশংকৈল উপজেলায় রয়েছে উন্নতমানের মার্কেট এবং আধুনিক মানের পন্যের সমাহার। যার কারণে অন্যান্য উপজেলাগুলো থেকেও ক্রেতারা ছুটে আসছে এখানে। মার্কেটগুলোতে আধুনিক মানের জামদানি শাড়ি, তাতের শাড়ি, সিল্কের মসলিন জামদানি, সুতি টাঙ্গাইল, সুতি মনিকা ও সিল্কের ইন্ডিয়ান কাতান শাড়ি। অপরদিকে থ্রিপিচ এর মধ্যে রয়েছে বুটিকার গোল জামা, সুতি গোল জামা ও টিসু গোল জামার চাহিদা ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি। তবে প্রতিবারের তুলনায় এবার এখানে পোষাকের দাম একটু বেশি। দোকানদাররা জানান, প্রতিবছর প্রথম রমজান থেকে বেঁচা বিক্রি বাড়লেও এবছর প্রথম অবস্থায় বেঁচা কেনা আগের তুলনায় কম। তবে ২৫-২৯ রমজান থেকে বিক্রয় আরো বাঁড়বে বলে আশা করেন তারা। তবে ক্রেতারা পন্যের গুণগত মানের উপর সন্তুষ্ট থালেও।তবে দোকানিরা জানান যে ধানের দাম কম থাকায় এবার কাস্টমারদের সাথে একটু বেশি কথা বলতে হয় এবং অনেকেই ঘুরে চলে যাই। তারা আরো বলেন, দাম ক্রয়সীমার মাঝে আছে। বিক্রেতারা জানান, বিদ্যুৎ, গ্যাস, কারিগর, যাতায়াতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পন্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়া ঢাকা থেকে মালামাল ক্রয় করে আনতে গেলে পথে পথে জ্যামে পড়ে থাকতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়ে দ্বিগুন খরচ পড়ে যায়। যার কারণে ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম কিছুটা বেশি নিতে হয়। উপজেলার পৌর শহরটিতে ছোট বড় মিলে ৬ টি মার্কেট এবং ১৫০ থেকে ২০০ শতর বেশি পোষাকের দোকান রয়েছে।