দেশের রাজনীতি এখন ই ভি এম মেশিনে আটকে গেছে। বিরোধী দল দাবী করছে ই ভি এম মেশিন ত্রুটিপুর্ন। এই মেশিনে ভোট পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু মেশিন যে ত্রুটিপুর্ন সেই তথ্যের ভিত্তিটি কি? কে পরীক্ষা করেছে? বিষয়টি এখন আর অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। কিন্তু দাবীটি যে সঠিক তার বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা জরুরী। যারা ই ভি এম মেশিন ত্রুটিপুর্ন দাবী করছে তারা কেউ এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন। নিশ্চয়ই তাদেরকে কেউ বুঝিয়েছে। সেই বিশেষজ্ঞরা সামনে আসছে না কেন?
রাজনীতির কৌশল রাজনৈতিক নেতারা নির্নয় করতে পারে। কিন্তু কারিগরি বিষয় জানাতে হলে বিশেষজ্ঞদের মতামত জরুরী। যদি বিরোধী দলের নেতাদের দাবী সত্য প্রমানিত হয় তাহলে অবশ্যই ই ভি এম মেশিনের পক্ষে থাকবে জনগণ। বিরোধী দল যদি তা প্রমান করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদেরকেও দাবীটি প্রত্যাহার করতে হবে। কেউ কেউ দাবী করেছেন, ভোট গ্রহনের পর মেশিন চিপটি বদল করে গণনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে ব্যবহারিত চিপটি সুরক্ষিত রাখার নিশ্চয়তা পেলেই তো আর এত দামে কেনা ই ভি এম মেশিন বাতিলের দাবী করতে হয় না।
নির্বাচন কমিশনে আলোচনায় বসে সকলেই প্রায় ই ভি এম এর বিপক্ষে মত দিয়েছে (সরকারী দল ছাড়া)। কেউ কি এই মেশিনের প্রযুক্তিগত বিষয় ব্যখা করেছে? এখন তথাকথিত সুশীল সমাজের পন্ডিত ব্যক্তিরাও সংবাদ সম্মেলন করে ই ভি এম মেশিনে ভোট জালিয়াতির সুযোগ রয়েছে বলে চিৎকার করছে। এই সুশীল পন্ডিতরা সরকারের কোন ভাল কাজটির প্রশংসা করেছে? পদ্মা সেতু নিয়ে সদা সমালোচনা করেছে। দুর্নীতির অভিযোগ করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এখন বলছে দেশের অনেক সমস্যা রেখে এত ব্যয়বহুল পদ্মা সেতু নির্মান উচিৎ হয়নি। আসলে এরা কোন দলের সদস্য না হয়েও রাজনীতিতে জড়িত। সভ্য সভায় সুন্দর ভাষায় পছন্দের দলের পক্ষে কথা বলা এদের লাভজনক ব্যবসা। এদের বক্তব্যের সাথে অভিন্ন মত রয়েছে রাজনৈতিক দলের। এরা ভদ্রবেশী তালবাজ না হয় মতলববাজ। বাংলাদেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে এই আতেলরা দেশের সর্বনাশ করছে অসত্য সংবাদ ছড়িয়ে। ই ভি এম মেশিন ছাড়া ব্যালটে সীল দিয়ে ভোট হলেও তাদের পছন্দের দল ক্ষমতায় যেতে পারবেনা তা তারা জানে। কিন্তু হেরে গেলে ভোট কারচুপির অভিযোগ করে রাজনীতির মাঠ গরম করার পরিকল্পনা মাথায় নিয়েই এই ই ভি এম মেশিন বিরোধী আন্দোলনটি ধরে রাখতে চায়।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর / মাহমুদা ইয়াসমিন