ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এর পরপরই জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়ালি কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নে সব ধরনের উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তেল আবিবের নিরিট এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এ সময় সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
হামলার পর এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, হাইফা এবং তেল আবিবে প্রায় ১২টি মাঝারি-পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করেছে তারা। তেল আবিবের শহরতলির সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০-এর গ্লিলট ঘাঁটিতে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়নি বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
অপর এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, তারা ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফার উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত ‘স্টেলা মারিস নৌঘাঁটি লক্ষ্য করে এক ঝাঁক রকেট হামলা চালিয়েছে’। এর আগে তারা জানিয়েছিল, তেল আবিবের শহরতলীতে দুইটি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, ‘হিজবুল্লাহর হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়নি।’
গাজায় ইসরায়েলি হামলা এখনো অব্যাহত। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত প্রায় এক লাখ মানুষ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাসকে সমর্থন দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিয়মিত হামলা করে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ।
তবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণে নির্বিচারে হামলা শুরু করলে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বড় আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। লেবাননে বিমান হামলার পাশপাশি গত মাস থেকে স্থল অভিযানও শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা ও এত কিছুর পরও যে ইসরায়েলে হামলার সক্ষমতা হিজবুল্লাহর রয়েছে, এই হামলার মাধ্যমে তারই জানান দিলো শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম