হরমুজ প্রণালীতে ব্রিটিশ পতাকাবাহী একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে ইরান। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তেহরানের দাবি, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন লঙ্ঘন করায় ট্যাঙ্কারটি জব্দ করা হয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা না হলে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে ইরানকে। এবিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘মাসদার’ নামের আরেকটি ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকার আটক করে ইরান। কাগজপত্র ও গতিপথ যাচাই বাছাই করে সবকিছু ঠিক থাকায় ট্যাংকারটি ছেড়ে দেয়া হয়।
তেল ট্যাংকার আটকের ঘটনায় শুক্রবার রাতে জরুরি বৈঠক করে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ট্যাংকারটি সম্পর্কে দ্রুত আরও তথ্য সংগ্রহ এবং গোটা পরিস্থিতি মূল্যায়নের চেষ্টা করছে লন্ডন। তবে ট্যাংকারে থাকা ২৩ ক্রুয়ের কেউই ব্রিটিশ নাগরিক নয় বলেও দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে। পরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত আটক ট্যাংকারটি ছেড়ে না দিলে ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে ইরানকে। একই সঙ্গে তিনি সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে লন্ডন।
জেরেমি হান্ট বলেন, ‘ইতোমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে এই বিষয়ে আলাপ হয়েছে। আমি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু তিনি বিমানে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি যতো দ্রুত সম্ভব বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে। কিন্তু ইরান যদি ট্যাংকার মুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে বিষয়টি অনেকদূর গড়াবে।’
এ ঘটনায় ইরানের আসল রূপ বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্যাংকার আটকের বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
এর আগে গত চৌঠা জুলাই জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে ইরানের তেলবাহী একটি ট্যাংকার আটক করে ব্রিটিশ নৌবাহিনী। ইতোমধ্যেই ওই ট্যাংকারের সব ক্রুকে মুক্তি দিলেও ট্যাংকারটির বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে।