ইরাকে সামরিক সরঞ্জামাদি বহনকারী মার্কিন সেনাদের একটি বহর উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদের দক্ষিণে সামোয়া এবং দিওয়ানিয়া এলাকার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। সামরিক বহরটি দিওয়ানিয়ার আল-ক্বাদিসিয়াহ ও মুসান্না প্রদেশের সেভিসলিন এলাকার মধ্যে যাতায়াত করছিল।
জানা গেছে, সামরিক বহরের অন্তত তিনটি গাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। কোন কোন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে- রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই হামলা চালানো হয়। সামরিক বহরটি দিওয়ানিয়ার আল-ক্বাদিসিয়াহ ও মুসান্না প্রদেশের সেভিসলিন এলাকার মধ্যে যাতায়াত করছিল।
এরইমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে হামলার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে- হামলার পর সামরিক বহরে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। নবগঠিত ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী সারাইয়া সাওরাত আল-ইশরিন আল-সানিয়া হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
ইরাকের ভূখণ্ডে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহিদি আল-মুহান্দিসকে হত্যার পর ইরাকের জনগণের ভেতরে প্রচণ্ড রকমের মার্কিন বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে। এ দু’জনকে হত্যার পর ইরাক থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের দাবিতে জাতীয় সংসদের একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়। সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে বর্তমানে ইরাক এবং আমেরিকা আলোচনা চালাচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে যে, যদি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আমেরিকার বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই শুরু হবে। সুত্রঃ পার্সটুডে।