মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার ফসলি জমির পরিমাণ দিন দিন কমছেই। যে হারে ফসলি জমি কমছে তাতে ভবিষ্যতে আবাদি জমির সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ৬ বছরে জেলায় প্রায় ১২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি হ্রাস পেয়েছে। জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সর্বত্রই প্রতিদিন অবৈধভাবে আবাদি জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। কৃষি জমিতে একের পর এক গড়ে উঠেছে ইটের ভাটা। এতে পরিবেশ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
এদিকে গোমতী নদী থেকে সারাবছর অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালি ও কৃষি জমির টপ সয়েলের সহজলভ্যতার কারণে এরই মধ্যে সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অনেক ইটের ভাটা।এভাবে কৃষি জমির ওপর একের পর এক ইটের ভাটা গড়ে ওঠায় ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। সেই সাথে নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশগুলো বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের কারণে ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকায় পরিণত হচ্ছে। ইট ভাটার চিমনির ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে। ধোঁয়া ও ধুলা দূষণে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ।
কৃষিবিদ ড. হযরত আলী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাড়ি ঘর নির্মাণ, ফসলি জমিতে ইটভাটা, পুকুর খননসহ নানা কারণে দিন দিন ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।