আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউরোপে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে তিনটি দেশ পর্তুগাল, ফ্রান্স ও স্পেন। দমকলবাহিনীর হাজার হাজার কর্মী আগুন নেভাতে কাজ করছেন। বেশ কয়েক দিন ধরেই এমন পরিস্থিতি চলছে। তবুও দাবানল কমার কোনো লক্ষণ নেই। আজ রোববার (১৭ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত পর্তুগালে দাবানলে ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দাবানলে স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা সতর্ক করে বলেছেন আগামী দিনে ইউরোপে এমন আরও দাবানল হতে পারে। আবহাওয়ার এমন বিরূপ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে দাবানল থেকে বাঁচাতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানলে পুড়ছে হাজার হাজার হেক্টর জমি ও বাড়িঘর।
গত মঙ্গলবার থেকে পর্তুগালে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং স্পেনে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছেছে। এতে গ্রামাঞ্চল দাবানলে জ্বলছে। গত বৃহস্পতিবার পর্তুগালের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি এলাকায় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জুলাই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। দাবানলে এ বছর দেশটির ৩০ জাহার হেক্টর বা ৭৫ হাজার একর জমি ধ্বংস করেছে। ২০১৭ সালে পর্তুগাল বিধ্বংসী দাবানলের শিকার হয়েছিল যাতে প্রায় ১০০ জন মারা গিয়েছিল। গত শুক্রবার উত্তর পর্তুগালের ব্রাগানকা অঞ্চলে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত একটি উড়োজাহাজ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন উড়োজাহাজের এক পাইলট।
এদিকে, ইতালিতে সরকার পো উপত্যকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং গ্রীসে দমকলকর্মীরা এথেন্সের প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং ক্রিটের উত্তর উপকূলে রেথিমনোর কাছে ফেরিজা এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করছে। রেথিমনোর কাছে সাতটি গ্রামের লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মরক্কোর উত্তরাঞ্চলীয় লারাচ, ওয়েজান, তাজা ও তেতুয়ান প্রদেশে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি গ্রাম খালি করতে হয়েছে। এ ছাড়া কাসার এল কেবির এলাকায় একটি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আগুনে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে।