তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে বিয়ের পিঁড়িতে বসা থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। শুক্রবার (১০ জুন) বাদ জুমা কবুল পড়িয়ে ষোড়শী বধুকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত বর পারভেজ আহমদের বরযাত্রী নিয়ে আর হবু শ্বশুড় বাড়িতে যাওয়া হলো না।
জানা গেছে, উপজেলার সুজাউল নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও সুয়ারারতল গ্রামের নাজিম উদ্দিন ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে রোকশানা আক্তারের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ ছিল শুক্রবার। পাত্র উপজেলার কলারতলি পারের পারভেজ আহমদ। স্কুলের ভর্তি রেজিষ্ট্রার অনুযায়ী রোকশানার বয়স এখনও ১৬ বছর পূর্ণ হয়নি। কিন্তু বাবা-মা স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল আজিজের যোগসাজসে ১৮ বছর পূর্ণ দেখিয়ে ভুয়া জন্মসনদ তৈরীর মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তুতি নেন। এ গোপন খবর পৌঁছে যায় ইউএনও’র কানে। আর তখনই তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এ বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেন।
ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, স্কুলছাত্রীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই শুক্রবার বাবা-মা তাকে বিয়ে দিচ্ছিলেন। খবর পেয়েই তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। বর আসার আগেই এ বাল্যবিয়েটি বন্ধ করেন।