নবম ও দশম সংসদে শরিকরা একাধিক মন্ত্রীসহ সরকারে থাকলেও এবারই প্রথম শরিকবিহীন সরকার পরিচালনায় আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, কার্যকর সংসদ গঠনের প্রক্রিয়ায় শরিকরা এখন বিরোধী দলে থাকবে। ফলে এক দশক পর স্পষ্ট হলো আওয়ামী লীগের একলা পথচলা।
২০০৮ সালের পর থেকে জোটবদ্ধ রাজনীতির ধারায় নবম ও দশম সংসদে ছিল ১৪ দলের শরিকদের একাধিক প্রতিনিধিত্ব। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায়ও তার প্রতিফলন ঘটেছে। জোটের রাজনীতিতে একে আদর্শগত বলেই অভিহিত করে আসছে আওয়ামী লীগ।
এ জোটে যেমন ভাঙনের ইতিহাস আছে তেমনি আছে সম্প্রসারণের ইতিহাস। সে ধারাবাহিকতায় জোটে নতুন দল এসেছে, হয়েছে মহাজোট। ২০১৪ সালের বিএনপিবিহীন নির্বাচনে একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থেকে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টিও ছিল আলোচনায়।
একাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ শরিকদের নিয়ে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়। আগে সরকারে থাকার কথা বললেও নির্বাচনের পরে বিরোধী দলেই ঠাঁই হয়েছে জাতীয় পার্টির। কিন্তু নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে সংসদে যাওয়া ১৪ দলের নির্বাচিত শরিকরাও বিরোধী দলেই থাকবে, বলছেন ক্ষমতাসীনরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ দলের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক সেটা হলো রাজনৈতিক জোট। কাজেই এটা থাকবে। সংসদে তারা বিরোধী দলীয় আসনে বসলে সেটা সরকারের জন্যও ভালো তাদের জন্যও ভালো।’