ইসরাইলি বাহিনীর অবরোধের পর গাজার হাসপাতাল আল-শিফায় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) সব রোগীরই মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সেখানকার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া এ কথা জানান।
হাসপাতাল পরিচালক বলেন, রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে সাত হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। চিকিৎসকরা এখনও রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইসরাইলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি একটি ‘বড় কারাগার’ এবং ‘গণকবর’ হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরা’র।
সালমিয়া বলেন, ‘আমাদের কিছুই নেই। বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পানি নেই। প্রতিমুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধে রাখা হয়েছে।’
এর আগে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, হাসপাতালটির আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
পরিস্থিতি খুবই বেদনাদায়ক উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আল-শিফা হাসপাতালকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ মোখল্লালতি জানান, বাধ্য হয়ে তারা হাসপাতাল চত্বরেই মরদেহ দাফন করছেন।
এদিকে গাজার দক্ষিণেও হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিযান সম্পসারণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হামাস যেখানে আছে সেখানেই আমাদের অভিযান চলবে। এমনকি, গাজার দক্ষিণেও যাবো আমরা। এ অভিযান তখনই শুরু হবে যখন আমাদের সেনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় আসবে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম