বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর, আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান সহ চার শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।
আজ দুপুরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ ৪ কর্মকর্তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা, সরে না দাঁড়ালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই আল্টিমেটাম দেন অন্যতম সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি।
রনি বলেন, আর্থিক খাতে অনিয়মের এই দোসররা যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে থাকেন, তাহলে এভাবে দেশের অর্থ আরও লুটপাট হবে। পাশাপাশি তাদের হাতে টাকা গেলে তারা মানুষ এবং অস্ত্র কিনবেন। যার মাধ্যমে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। এজন্য চার কর্মকর্তা পদত্যাগ না করলে ছাত্র-জনতা বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘেরাও করবে।
এই চার কর্মকর্তা হলেন, ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী ছাইদুর রহমান, ডেপুটি গভর্নর-৩ খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি উপদেষ্টা আবু ফারাহ মো. নাসের।
দুই ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি উপদেষ্টা আবু ফারাহ মো. নাসের গভর্নর বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে পদত্যাগ করেন। তারা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান একটি সাদা কাগজে নির্বাহী পরিচালক-১ এর কাছে দায়িত্ব অর্পন করে পদত্যাগ করলেও গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ডেপুটি গভর্নরদেরকে স্ব স্ব পদে থেকে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা জারি করে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম