মিয়ানমারের সঙ্গে সংঘাত নয়, বাংলাদেশ আলোচনার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চায় বলে আবারও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে মানবাধিকার দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না।’
মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা প্রতিপাদ্যে সারাবিশ্বের মতো দেশেও পালিত হচ্ছে মানবাধিকার দিবস।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের দৈহিক সুরক্ষার পাশাপাশি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। তার ভাষণে উঠে আসে বিরাজমান রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, সংঘাতের পথে যাবে না বাংলাদেশ।
এ সময় আইন করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করা দেশের ইতিহাসে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় তরুণ প্রজন্মকে বাঙালির করুণ ইতিহাস জানার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের জানা উচিত স্বাধীনতা অর্জন ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে কী কী ঘটনা ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সব মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হাতে নেয়া হয়েছে। বিগত ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যে দলীয় ইশতেহার ছিল সেই ইশতেহারেও সেখানে মানবাধিকার কমিশরের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেটা অব্যাহত রাখার কথা বলায় হয়েছে এবং সেই অঙ্গীকার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করছে এবং গুরুত্বের সঙ্গে কমিশনের সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে সেটা যথাযথ বাস্তবায়ন হয় সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে ও নিয়ে যাব। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কমিটিতে নিয়মিত রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ছায়া প্রতিবেদন প্রেরণ করে যাচ্ছে।# সময় নিউজ