সাকিব আল হাসান, রৌমারী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় আলোকিত মানুষ গড়ার অন্যতম বিদ্যাপিঠ যাদুরচর মডেল ডিগ্রী কলেজ। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠা যাদুরচর মডেল ডিগ্রী কলেজটি সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই কলেজ থেকে পড়ালেখা করে অনেক শিক্ষার্থী এখন প্রতিষ্ঠিত এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপ‚র্ণ পদে চাকুরী করছেন। ১৯৯৯ সালে মাত্র ৩২০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এই কলেজের যাত্রা শুরু হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন যাদুরচর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাজী এম এ হাকিম আইডিয়াল মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল সানাউল্লাহর পিতা আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম মেম্বার। উপজেলার প্রায় ১১৫ টি গ্রামের ছেলে মেয়েরা এই কলেজে অধ্যয়ন করছে। ধুমপান ও রাজনীতি মুক্ত এই কলেজটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০০ জন।
গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভর্তি ফি, বেতন ও বই কলেজ থেকে বিনামুল্যে প্রদান করা হয়। কলেজটিতে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসা, বিএম ও ডিগ্রী শাখা চালু আছে। শিক্ষার্থীদের মনোরম পরিবেশ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও একঝাঁক তরুন ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পাঠদানের কারনে প্রতিবছরেই শতভাগ পাশের সাথে ভাল রেজাল্ট করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাচ্ছে। রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর গ্রাম সংলগ্ন ডিসি রাস্তার পাশে অবস্থিত এই কলেজের শিক্ষার্থীদের ভাল রেজাল্টের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে অভিভাবকদের নিকট।
২০১৫ সালে বর্তমান অধ্যক্ষ সৈয়দ মো: আমিনুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে শিক্ষক, কর্মচারীদের মাঝে সমন্বয় ফিরে আসে এবং শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শিক্ষার মান দিন দিন বাড়তে থাকে। বর্তমানে এ কলেজের সুনাম শিক্ষার্থী ও এলাকার অভিভাবকদের মুখে মুখে। এ ব্যাপারে উক্ত কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ মন্ডল, সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও প্রভাষক মো: ফরিদ উদ্দিন বলেন, অধ্যক্ষের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম।
তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর কলেজে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পেয়েছে ও পাশের হার বেড়েছে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পাশের হার আরও বাড়বে বলে আমাদের আশা ও বিশ্বাস। এ ব্যাপারে যাদুরচর মডেল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ২০১৫ সালে এই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য নিয়মিত ক্লাশগুলো পরিদর্শন ও মনিটরিং কার্যক্রম করা হয়।
এরই অংশ হিসেবে বছরের শুরুতেই কলেজে সময়মত শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের সংখ্যাবৃদ্ধি, ঝড়ে পড়ার হার হ্রাস, পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি সহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে চলছি। তারই ধারাবাহিকতায় গতবারের চেয়ে পরীক্ষায় ফলাফল ভাল হয়েছে। গতবার পাশের হার ছিল প্রায় ৫০ শতাংশের কিছু উপরে।
আর এবার পাশের হার প্রায় ৭৪ শতাংশের উপরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে পাশের হার বৃদ্ধি ও শিক্ষার মান আরও বাড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। একই সঙ্গে কলেজটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনায় এলাকাবাসী, অভিভাবক ও সচেতন মহলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।