আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিএনপির নালিশ আর মামলা ছাড়া কিছুই করার নেই।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনের ফল নিয়ে যে কারোরই মামলা দায়েরের অধিকার রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের ফল নিয়ে জেলা পর্যায়ে বিএনপির মামলা করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির আন্দোলন করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই নালিশ আর মামলাই তাদের শেষ ভরসা।
ওবায়দুল কাদের গতকাল রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শেষে এ কথা বলেন।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়া ১২২ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপ, ২৩ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপ এবং জুন মাসে পঞ্চম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া এক প্রার্থীর বিষয়ে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পৌরসভা মেয়র বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে কি-না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আইনের ব্যত্যয় যাতে না হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সে জন্যই আমরা জাতীয় নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং মেয়রদের দলীয় মনোনয়ন দিইনি।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও আমরা মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের কোনো চেয়ারম্যানকে মনোনয়ন দিইনি। তারপরও কোনো অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসির) আইনের জন্যই আমরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিইনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, আমরা শতকরা ৩৩ ভাগ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরপিওর এ ধারাটি পুরোপুরিভাবে পালন করার টার্গেট রয়েছে।’ এর আগে তিনি দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।