চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। আজ বুধবার (২২ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে একটা মানুষ ঘর পাওয়ার পর তাঁর মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই চেয়েছিলেন।’
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সাড়ে তিন বছর একটা রাষ্ট্রের জন্য কম সময়। তখন তো একটা প্রদেশ ছিল, সেটি দেশে উন্নীত করা ও তার গঠন করা; এটি তিনি করে গেছেন। কিছু বেঈমান-মুনাফেকের জন্য তার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। পিছিয়ে থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে দেশের ২১১টি উপজেলা। এরমধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের ৩২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, দৌলতপুরসহ বেশ কিছু উপজেলাও গৃহহীনমুক্ত হবে।
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার তাদের মাথার উপর ছাদ পায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি গৃহহীন পরিবার ঘর পায়। তৃতীয় পর্যায়ের দুই ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর গৃহহীনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ফলে এখন পর্যন্ত ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল উপজেলাসহ সারা দেশের মোট ১৫৯টি উপজেলা।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন