করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে ষষ্ঠ দফায় আরও সাড়ে ৯ হাজার টন চাল ও ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য এবং ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিশু খাদ্য কিনতে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সোমবার এ বরাদ্দ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকে চিঠি পাঠিয়েছে।
দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসকদের এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে বলা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করে বলে জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
আর শিশু খাদ্য কেনার শর্তে বলা হয়েছে, সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়ম যথাযথভাবে যেন প্রতিপালন করা হয়। মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়ো দুধ কিনে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এ ছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে খেঁজুর, বিস্কুট, ফর্টিফায়েড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুর ডাল, সাগু, ফর্টিফায়েড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত তৈরি খাবার স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে।
জেলা প্রশাসকদের যথাযথ শর্ত অনুসরণ করে শিশু খাদ্য কিনে তা বিতরণ করে নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৫ দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য সরকার ২৮ কোটি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৬৫ হাজার ৯৬৭টন চাল বরাদ্দ দেয়।