আমতলী হলদিয়া ইউনিয়নের জুলেখা সুলিজ সংলগ্ন কাদির খাঁ খাল খননের কাজ বন্ধের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সাধারন জনগন। কাদির খাঁ খাল খননের ফলে সাধারন মানুষের রেকর্ডীয় ও খাস জমি, ঘর বাড়ির রাস্তা, রেন্ডি, মেহগনি, চাম্বল সহ বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। খাল খননের ফলে তরমুজ, বাদাম, মরিচ চারা সহ কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে।
উল্লেখ্য বিগত তিন বছর আগে উক্ত খাল খনন করা হয়। মোসাঃ সালেহা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম ও সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আবু জাহের ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে তৎক্ষণাৎ কাজ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রভাষক কামরুল হাসান সায়মন বলেন, কৃষি মৌসুমে যন্ত্রের মাধ্যমে খাল কাটা কোন বৈধ কাজ নয় আর এ সকল কাজ শুরুর পূর্বে সীমানা নির্ধারণ ও ক্ষতি যাচাই সর্বাধিক জরুরী বিষয়।
ভুক্তভোগী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল্লাহ মুন্সী এর কন্যা হাসিনা ইসলাম বলেন, আমি স্বামী হারা বৃদ্ধা ও দীর্ঘ বছর ধরে অসুস্থ। আল্লাহ আমাগো ক্ষতি পূরন দেও। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আপা ও সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু বাবাজির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভুক্তভোগী টি, এম, মেহেদী হাসান বলেন, কাদির খাঁ খাল খননের জন্য বেকু দিয়ে কৃষি জমিতে মাটি ফেলে চাষের জমির ক্ষতি করেছে। আমাদের ক্ষতি পূরন পাওয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশসাক মহোদয়, পানি উন্নমন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সহ আমতলী উপজেলা প্রশাসন মহোদয়, বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় ও অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আমতলী পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক টি, এম রেদওয়ন বায়েজীদ বলেন, ম্যাপ ও ট্রেস ছাড়া কাদির খাঁ খাল কাটায় অনেকের রেকর্ডীয় জমি কেটে ফেলেছে এবং এলাকাবাসীর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবী জানাই।
আজ ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:০৮ | সোমবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি