স্টাফ রিপোর্টারঃ আরাফাত আহমেদ রনি
বুধবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জিইসি মোড়স্থ ক্যান্ডি রেস্টুরেন্ট এবং বিড়িয়ানি হাউজকে আবারো করা হলো জরিমানা। এবার ময়লামাখা খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা ছাড়াও নোংরা পরিবেশে খাবার রান্না করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে গুণতে হয়েছে এক লাখ টাকা জরিমানা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের খাবারের দোকান ক্যান্ডিতে অভিযান চালিয়ে দেখতে পান— সেখানে খাদ্য উপকরণ রাখা হয়েছে ময়লামাখা পাত্রে, ফ্রিজে রাখা হয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাবার, এমনকি পলিথিন ব্যাগে পাওয়া গেছে রান্না করা মাংস। হাতেনাতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ক্যান্ডিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এই অভিযানে ক্যান্ডিসহ ৮ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে একলক্ষ সাতষট্টি হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ।
তিনি জানান, জিইসি এলাকার এশিয়ান কাবাবকে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে ছাপাসংবাদপত্র ব্যবহার ও কিচেনে নোংরা পানি জমে থাকায় ছয় হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। এসময় অফটাইম স্ন্যাক্সকে মেয়াদবিহীন পণ্য সংরক্ষণ করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দি ইয়াম স্টোররকে উৎপাদন মেয়াদবিহীন পণ্য সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও পণ্যের মেয়াদ তুলে ফেলায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
আকবরশাহ থানার ফয়’স লেকের লাকী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে অননুমোদিত এনার্জিড্রিঙ্ক সংরক্ষণ করায় আট হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত এনার্জি ড্রিঙ্ক ধ্বংস করা হয়। মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করে ভোক্তাদের বেশি দামে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করায় ফ্রেশ ফুড কর্ণারকে আট হাজার, একই অপরাধে গোল্ড হিলকে দশ হাজার ও আশা রেস্টুরেন্টকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।