আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরান সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের ইসলাম কাল্লা স্থলবন্দরের ভয়াবহ ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আগুন প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল বহনকারী ৩ শতাধিক যানবাহনসহ প্রায় ৫০০ গাড়ি বিস্ফোরিত হয়ে পুড়ে গেছে এবং অন্তত ৬০ জনের মতো আহত হয়েছেন।
এদিকে হেরাতের প্রাদেশিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
হেরাতের বণিক সমিতির চেয়ারম্যান ইউনুস কাজিজাদে বলেছেন, ইসলাম কাল্লা স্থলবন্দরের পার্কিং-এ প্রায় ৫০০ তেল ট্যাংকার ছিল যার সবই আগুনে ভস্মিভুত হয়েছে। এর ফলে এসব ট্যাংকারের মালিক ব্যবসায়ীদের ৪ থেকে ৫ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
তিনি এই ভয়াবহ ক্ষতির জন্য আফগানিস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নয়া নীতিমালাকে দায়ী করেছেন। সম্প্রতি জারি করা এই নীতিমালায় লরি ও ট্যাংকারগুলোকে স্থলবন্দরের কাস্টমস চেকিংয়ের জন্য দুই সপ্তাহ পর্যন্ত পার্কিং-এ অবস্থান করতে বাধ্য করা হয়েছে।
এছাড়া আফগান অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানি যাতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্য এ ব্যাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার কাবুলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হানিফ আতমার ওই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়ায় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেছেন, বিস্ফোরণের পরপর ইরান তার সীমান্ত খুলে দেয়ায় অন্তত এক হাজার ট্রাক ইরানে প্রবেশ করে এই অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেজন্যও তিনি ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে তরল গ্যাসভর্তি একটি ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে আগুনের সূত্রপাত হলেও বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। কোনো কোনো সূত্র অবশ্য তেল ও তরল গ্যাসভর্তি ট্যাংকারে হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়নি। এসব জ্বালানী ইরান থেকে আমদানি করা হচ্ছিল।
আগুন লাগার পরপরই হেরাত প্রদেশের গভর্নর সাইয়্যেদ ওয়াহিদ কাতালির আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘটনাস্থলে ইরান ফায়ারব্রিগেডের ২০ টি ট্রাক ও ২১ টি এ্যাম্বুলেন্স পাঠায় এবং ইরানি অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই গতকাল রোববার শেষ বেলায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সুত্রঃ পার্সটুডে, ডেইলি সাবাহ।