আমরা অনেক সময় অজান্তে আমরা নকল ফোন কিনে ফেলি। আর মোবাইল ফোনেরও কিন্তু আসল নকল হয়। ভাবছেন তাও কি করে সম্ভব? আর কি করেই বা তা আপনারা বুঝতে পারবেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু উপায়-
স্মার্টফোন আসল না নকল কীভাবে জানবেন?
আসলে চারিদিকে এত আসল নকলের মাঝে এখন সব কিছুরই নকল হচ্ছে, আর এক্ষেত্রে আপনি হয়ত একটি দামি ফোন কিনলেন আর বুঝতেও পারলেন না যে সেটি নকল। কিন্তু আচমকাই যেদিন বুঝলেন সেদিন আর করার কিছু থাকল ন। তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া ভাল। আর চিনে স্যামসাংয়ের অনেক হাই এন্ড ফোনেরও নকল করা হয়।
ANTUU 2017 সালে নক অফ স্মার্টফোন রিপোর্ট অনুসারে স্যামসাং স্মার্টফোন গত বছর 36% র বেশি নকল হয়েছে আর এই তালিকায় আইফোন, হুয়াওয়ের মতন একাধিক ব্র্যান্ডের ফোনের নাম আছে। ‘
চিনে যখন এত বড় বড় ব্র্যান্ডের নামি দামি ফোনের এই হারে নকল নবীশ হয় তখন আমাদের দেশেও যে ফোন নকলের বাজার নেই তা নয়। হয়ত সেই নিয়ে কোন তথ্য বা ডকুমেন্ট এখন আমাদের কাছে নেই কিন্তু যদি না বুঝে সেই নকল ফোনের কোন ফোনই আপনার হাতে আসে তখন? তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া ভাল।
ফোনের ডিজাইন
প্রথমেই নকল ফোন দেখে চেনার উপায় এর বাইরের ডিজাইন। নকল ফোনে বাটন প্লেসমেন্ট আলদা হয় আর বেজেলও অন্য রকমের মনে হতে পারে বা সন্দেহজনক মনে হতে পারে। ফোনে ক্যামেরা প্লেসমেন্ট সন্দেহজনক হতে পারে । তবে এত সহজে ডিজাইন দেখে চেনা খুব মুস্কিল। তবে এভাবেই ফোন চেনা শুরু করা উচিৎ।
আপনারা যদি কোন দোকান থেকে ফোন কেনেন তবে সবার আগে আপনাদের ফোন অন করে দেখা উচিৎ। আর তা যদি না করেন তবে ফোনে পরে সমস্যা হতে পারে।
আর যদি ফোন অন করে সবার আগে আপনারা UI কম্পানির থিমে আছে কিনা দেখা উচিৎ। আসল আর নকলের পার্থক্য এখানেই দেখা যাবে।
টেস্ট না করার ভুল
যদি কারও থেকে কোন পুরনো ফোন কিনছেন তবে সেই ফোনটি ভাল করে দেখে নেওয়া উচিৎ। মানে কেনার আগে কয়েকদিন ব্যাবহার করে দেখা দরকার। এই সময়ে যদি কোন সমস্যা দেখা যায় তখন সেই ফোন না নিয়ে বা পুরো টাকা দেবেন না। আর এই সময়ে ফোনের বাইরের কন্ডিশান দেখুন আর এর পার্ফর্মেন্স টেস্ট করুন।
হার্ডওয়্যার ইত্যাদি
আপনারা যদি কোন ফোন নেন তবে সবার আগে সেই ফোনের হার্ডওয়্যার কোম্পানির আসল হার্ডওয়্যারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা দরকার। ধরুন 4GB র্যাম আর হাই এন্ড প্রসেসারের ফোন আর এর সঙ্গে কোন পরিচিত GPU আছে। আর স্টোরেজের বিষয়েও আপনারা প্রথমেই জানবেন। আর তাই ফোন নেওয়ার সময়ে এই জিনিস দেখে নেওয়ার দরকার। যদি এসবে মিলে যায় ত ভাল আর না মিললে সাবধান।
CPU-Z বেঞ্চমার্ক চালিয়ে দেখুন
ফোন কেনার আগে সম্ভব হলে একবার তাতে বেঞ্চমার্ক চালিয়ে দেখা দরকার, এর থেকে আপনারা ফোনের হার্ডওয়্যার কি কেমন আর তা আসল কিনা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
এবার IMEI নাম্বার
আর এবার ফোনের IMEI নাম্বার দেখা দরকার যদি এখানে কোন গরবর চোখে পরে তবে সাবধান। এজন্য *#06# ডায়াল করে IMEI নাম্বারটি মিলিয়ে নিতে পারেন বক্সের IMEI নাম্বারের সাথে। এছাড়া IMEI নাম্বারটি আসল কিনা তা জানতে www.imei.info এই ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বারটি প্রবেশ করে যাচাই করে নিতে পারেন ফোনটা আসল না নকল বা IMEI নাম্বার ভ্যালিড কিনা।