বলিউড তারকা সালমান খানের নায়িকা জারিন খানকে আদালতে দেখে অবাক সবাই। তার পরনে ছিল ছাইরঙা ফুলহাতা গেঞ্জি, কালো প্যান্ট। মুখে আকাশি রঙা মাস্ক। চোখ ঢাকা কালো চশমায়। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে শিয়ালদহের আদালতে ঢুকেন তখন আইনজীবী থেকে তাদের মক্কেল, অনেকেই হাঁ করে তাকিয়ে ছিলেন।
মামলার শুনানি চলাকালে এজলাসে দাঁড়িয়েছিলেন জারিন খান। অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর আদালত কক্ষ ছাড়েন তিনি।
সালমানের নায়িকার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল কলকাতার নারকেলডাঙা থানায়। ওই মামলাতেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জারিন।
২০১৮ সালে কালীপূজা উদ্বোধনে জারিন খানের যাওয়ার কথা ছিল কলকাতায়। ৪২ লাখ টাকার বিনিময়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে চুক্তি করেছিল নারকেলডাঙা থানা এলাকার একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান। ৫ নভেম্বর কালীপূজার উদ্বোধন করার জন্য চুক্তি হলেও তিনি উদ্বোধন করতে যাননি। টাকাও ফেরত দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর নারকেলডাঙা থানায় জারিন ও তার সেক্রেটারির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। দুজনের বিরুদ্ধে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সেই মামলায় সোমবার আদালতে হাজির হন জারিন।
এ দিন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক শুভজিৎ রক্ষিতের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নায়িকা। তার আইনজীবী পবন আগরওয়াল আদালতে জারিন খানের জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জারিন খানের ৩০ হাজার টাকার বন্ডে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
তাকে শর্ত দেওয়া হয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া অন্য দেশে যেতে পারবেন না অভিনেত্রী। পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে ২৬ ডিসেম্বর। সেদিনও আদালতে হাজির থাকতে হবে সালমানের নায়িকাকে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম