আজ ২২ মার্চ দিবাগত রাতে শবে মেরাজ পালন করবেন মুসলমানরা। এরপর দিন ২৩ মার্চ থাকবে ঐচ্ছিক ছুটি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে এই মহিমান্বিত রাতে শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হযরত জিবরাইল (আ.) ও হযরত মিকাইলের (আ.) সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমান থেকে একে একে সপ্তম আসমান এবং সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিমে পৌঁছান ও আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করার পরম সৌভাগ্য অর্জন করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টিজগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষে ২৬ রজব দিবাগত রাতে সৃষ্টিজগতের আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই ঘটনা সংঘটিত হয়।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মিরাজ’। হযরত মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। এ মেরাজ রজনীতেই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। এজন্য মুসলিম ধর্মালম্বীদের কাছে মিরাজের তাৎপর্য অনেক গুরুত্ব বহন করে।
প্রতি বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র শবে মিরাজ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মিরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার ওয়াজ মাহফিল বা আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না। তবে নামাজের পর উপস্থিত মুসল্লিদের নিয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হবে। কেউ চাইলে ইবাদতও করতে পারবেন। মসজিদ খোলা থাকবে।