অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে অপেক্ষার অবসান। সারা দুনিয়া যে সঞ্জীবনীর জন্য অপেক্ষা করছে, সেই করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসছে আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যেই। রাশিয়ায় করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজে যুক্ত গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘আগামী ১২ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যেই বাজারজাত করা হবে ভ্যাকসিন। মানুষের নাগালে এসে যাবে বহুল প্রতীক্ষিত মহৌষধি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ‘ত্রাসে’ গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে রীতিমতো বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। কোনও প্রতিষেধক না থাকায় মারণ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। চিন, ব্রিটেন সহ বেশ কয়েকটি দেশে ২০টি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন রুশ বিজ্ঞানীরা।
সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল প্যারাসাইটোলজির ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ বিভাগের পরিচালক অ্যালেকজান্ডার রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সব কয়টি ধাপ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ১২ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে বাজারে আসছে ভ্যাকসিন।’
প্রথম দফায় মাত্র ১৮ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৩ জনের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে ভ্যাকসিনটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তিনটি ধাপ সম্পূর্ণ করতে হয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সব ধাপে সফল না হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনও ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমতি দেয় না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে রুশ ভ্যাকসিনটির প্রথম পর্বের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রুশ গবেষকদের তৈরি ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ? যদিও আলেকজান্ডারের দাবি, ‘এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ন নিরাপদ। অন্যান্য সব ভ্যাকসিনের মতোই করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সব ধরনের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে।’ সুত্রঃ দিজ মোমেন্ট।