একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে বুধবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে । বড় বিজয়ের পর এ সংসদের মাধ্যমে উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করতে চায় সরকারি দল। প্রথম অধিবেশনেই সংসদীয় কমিটি গঠিত হবে জানিয়ে ক্ষমতাসীনরা বলছে, গঠনমূলক বিরোধিতার সুযোগ সৃষ্টি করতে এসব কমিটিতেও রাখা হবে বিরোধী পক্ষের সদস্যদের। এদিকে জাতীয় পার্টি বলছে, সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে চায় তারা।
ঐ সংসদেই সংবিধান সংশোধন হয়েছে দুবার। পাস হয়েছে বিচারপতি অপসারণে ষোড়শ সংশোধনী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সড়ক আইনসহ আলোচিত আইনগুলো। সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার পর টানা ৩য় বার সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগ একাদশ সংসদের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সুশাসন নিশ্চিত করতে চায়।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মানুষ চায় উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে সুশাসন হবে। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হবে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।’
সরকারের এ নীতিনির্ধারক আরও জানান, সংসদের কার্যক্রমকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে প্রথম অধিবেশনেই গঠন করা হবে সংসদীয় কমিটিগুলো। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, ‘বিরোধীদল যত ছোটই হোক না কেন তাদের কেউ সংসদে দাড়িয়ে কোন ন্যায়সঙ্গত কথা বললে আমরা সে কথাকে অবশ্যই গুরুত্ব দেব।’
দশম জাতীয় সংসদে একই সাথে সরকারের মন্ত্রীসভা এবং বিরোধীদলীয় দায়িত্ব পালন করেছে জাতীয় পার্টি। একাদশ জাতীয় সংসদের শুরু থেকেই সরকারের অংশ না হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘মন্ত্রিত্বে থেকে বিরোধীদলীয় দায়িত্ব পালন করলে তা আমাদের দেশের মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না। ‘
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগেরই অংশ ছিল। এভাবে বিরোধীদল গঠন করাটা মানানসই নয়। সংসদ প্রাণবন্ত হবার জন্য শুধুমাত্র দাড়িয়ে কথা বললেই হবে না, কথায় সারবত্তা থাকতে হবে।’
গণতন্ত্রের স্বার্থে সব পক্ষকে সংসদে যাবার আহ্বান জানান এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক।