প্রদীপ কুমার দেবনাথ, নাসিরনগর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।।
‘বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ হীরার খনি। একে কাটলে, খন্ড করলে হীরাই বের হবে অন্য পদার্থ নয়। আওয়ামিলীগ নেতা জন্ম দেয়, হাওলাতি নেতা নিয়ে চলেনা। আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে অপপ্রচারকারীরা অতীতেও জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে এখনও দিচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে কেউ কেউ আওয়ামীলীগের নেতা বনে যাচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য কখনও সফল হতে দেওয়া হবেনা। বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসে প্রতিটি সফল আন্দোলন ও স্বাধীন – সার্বভৌম বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামীলীগের অবদান । অথচ সেই মুক্তিযুদ্ধেও যেমন কিছু লোক বিরোধিতা করে পাকিস্থানি শাসক গোষ্ঠীর মদদ দিয়েছে আজও দিচ্ছে। এদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার কারণে বাঙ্গালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনককে আমরা হারিয়েছি। আবার ঐ স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট হত্যা করতে চেয়েছিল। ঐদিন তারা মহীয়সী নারী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেত্রী আইভি রহমান সহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। আজকে সেই কুশীলবদের বিচার হচ্ছে। আওয়ামিলীগ বাংলাদেশের পরিক্ষিত রাজনৈতিক দল’ – কথাগুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ১ ( নাসিরনগর) আসনের সাংসদ ও সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এম পি। তিনি আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কথাগুলো বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি সায়েব আলী শাহ্ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দীন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা ফারুকুজ্জামান ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আব্বাস টিপু, আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামীলীগ নেতা আঃ রহিম মাস্টার, আওয়ামলীগ নেতা অরুনজ্যোতি ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তৃতা প্রদান করেন। এ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। শোকসভাটি একটি বিশাল জনসভায় পরিণত হয়েছিল।