ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রধান স্পন্সর থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ভিভো। লাদাখের যুদ্ধাবস্থা এখন যেন বিরাজ করছে আইপিএলেও। ২০জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার জের ধরে ভারজুড়ে ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছিল, বয়কট চীনা পণ্য। তারই জের ধরে জোরালো দাবি উঠেছিল, আইপিএল থেকেও যেন বাদ দেয়া হয় চীনা মোবাইল কোম্পানি ভিভোকে। আর ভারতীয়দের তীব্র সমালোচনার মুখে এবারের আসরের প্রধান স্পন্সর চীনা এই কোম্পানি নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
রোববার আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ভিভোই থাকবে তাদের স্পন্সর। এই ঘোষণার পর ভারতে শুরু হয়ে যায় তুমুল আন্দোলন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে বয়কট আইপিএল আন্দোলনের ঢেউ উঠে গেছে।
শেষ পর্যন্ত একদিনও যেতে পারলো না, আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনা মোবাইল কোম্পানি ভিভো। আইপিএলের তেরোতম সংস্করণের স্পনসরশিপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
২০১৮ সালে ২ হাজার ১৯৯ কোটি রুপির বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের প্রধান স্পন্সরশিপ পায় ভিভো। সেই চুক্তি অনুযায়ী এবারের আসরেও আইপিএলের প্রধান স্পন্সর হিসেবে থাকার কথা ছিল ভিভোর।
তবে শুধুমাত্র চলতি বছরই তারা আইপিএলে স্পন্সর করবে না। চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছর স্পন্সর করার কথা জানিয়েছে ভিভো।
মূলত ভারত-চীন সীমান্ত সংকটের কারণে এ বয়কটের ডাক উঠেছিল। ফলে ভারত সরকার টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপকে সেই সংঘর্ষের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ভিভোকে আইপিএলের স্পন্সর থেকে কেন বাদ দেয়া হবে না সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতের নাগরিকরা।
তবে এ নিয়ে বিসিসিআইয়ের মধ্যেও মতবিরোধ ছিল। বিসিসিআইয়ের কড়া সমালোচনা করে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতীয় সেনারা যখন সীমান্তে চীনের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ দিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধে পরিবেশ তৈরি হয়ে রয়েছে। দেশজুড়ে চীনা অ্যাপ বর্জন করা হয়েছে। সেখানে উল্টো পথে হেঁটে বিসিসিআই ভিভোর মতো চীনা সংস্থাকে আইপিএলের স্পন্সর হিসেবে রেখে দিয়ে দেশকে অসম্মান করল।’
এবারের আসরে আইপিএলে স্পন্সর হিসেবে না থাকলেও ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৩ আইপিএলে স্পন্সর হিসেবে থাকতে চায় ভিভো। এ বছর তারা বিরতিতে যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে এই চীনা কোম্পানিটি।