স্পোর্টস ডেস্কঃ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে মাঠে অশোভন আচরণ করার দায়ে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানাসহ তার নামের সঙ্গে এক ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের অনুযায়ী।
আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে তার সতীর্থ নাসুম আহমেদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। যা বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ (২.৬) মাত্রার অপরাধ। কোডের ৭.৫ ধারা অনুযায়ী মুশফিকের সঙ্গে এক ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে।
বিসিবি জানিয়েছে, যদি চলতি টুর্নামেন্টে মুশফিক চার ডিমেরিট পয়েন্ট পান তাহলে ম্যাচ খেলা থেকে বহিষ্কার হতে পারেন তিনি। এমনকি নিষিদ্ধ করা হতে পারে তাকে। লেভেল-১ অনুযায়ী, লঙ্ঘন করলে কম পক্ষে আনুষ্ঠানিক সতর্কতা ও সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি’ জরিমানা এবং এক থেকে দুই ডিমেরিট পয়েন্ট প্রদানের বিধান রয়েছে।
মুশফিক নিজের দোষ ও শাস্তি মেনে নেয়া কোনও শুনানির প্রয়োজন হয়নি। মাঠে থাকা আম্পায়ার গাজী সোহেল, মাহফুজুর রহমান, তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল ও চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামান স্বপন মুশফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তার বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করেছেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে ১৩ ও ১৭তম ওভারে দুইবার নাসুমকে মারতে উদ্যত হন মুশফিক। এই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে মুশফিক ভক্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে নাসুমও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করতে আহ্বান জানান।
এদিকে মুশফিক বলেন, ‘গতকালের ম্যাচ চলাকালীন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আমার ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। সতীর্থ নাসুমের কাছে খেলার পরেই ক্ষমা চেয়েছি। সর্ব শক্তিমান আল্লাহর কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। আমি সব সময় মনে রাখি যে আমি একজন সর্বোপরি একজন মানুষ। আমার আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। কথা দিচ্ছি, ইনশাল্লাহ আগামীতে মাঠে অথবা বাইরে এমনটা আর হবে না।’
অন্যদিকে নাসুম লিখেছেন, ‘গতকাল ম্যাচের পর থেকে আমাকে আর মুশফিক ভাইকে নিয়ে আপনারা অনেকে যেগুলো লিখছেন এগুলো একদমই কাম্য নয়। টিভি সেটে যা দেখেছেন এগুলো মাঠে হতেই পারে। গতকালকে আমাদের মিস এফোর্টের মাত্রাটা একটু বেশিই ছিল। গতকাল ম্যাচে পার্টিকুলারলি আমি মনে হচ্ছে এফোর্টলেস ছিলাম। মুশফিক ভাই অনেক সিরিয়াস ও ডেডিকেটেড ছিলেন ম্যাচে এবং আমার প্রতি এক্সপেকটেশনটাও বেশি ছিল টিমের। যাই হোক, মাঠের বিষয় আমরা মাঠেই শেষ করে নেই। আর মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার মাঠের বাইরের বন্ডিংটাও অনেক ভালো। এমনকি এই টুর্নামেন্টে উনি আমাকে ইন্ডিভিজুয়ালি প্রচুর সময় দিয়েছেন কিভাবে ভালো করা যায় এবং দুর্বল দিকগুলা দ্রুত কাটিয়ে উঠা যায় এসব ব্যাপারে। আমাদের মধ্যে কোনও সিরিয়াস কিছু হয়নি। ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে এবং টিম হোটেলে তার সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তাছাড়া আমার বড় ভাইয়ের মতো তিনি। তাই বড় ভাই এবং অধিনায়ক হিসেবে শাসন করতেই পারেন। দয়া করে আমাদের এই ব্যাপারটা নিয়ে আর কিছু লিখবেন না। আজ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলা আছে। সবাই দোয়া করবেন।’