অবশেষে অবসান হল আজারবাইজান – আর্মেনিয়ার যুদ্ধ। আজারবাইজান – আর্মেনিয়ার যুদ্ধ অবসানে আনন্দ মিছিল করছে আজারবাইজানের জনগণ।
গত ছয় সপ্তাহে চলমান আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার প্রচণ্ড যুদ্ধের অবসান হয়েছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া এরিমধ্যে একটি চুক্তিতে সই করেছে যাতে ইয়েরেভান অধিকৃত অঞ্চল থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে ইয়েরেভানের এই পদক্ষেপে আর্মেনীয় নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা একে পরাজয় বলে বিবেচনা করছেন।
সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তারা বলেছেন, নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে এবং মস্কো সময় রাত ১২টা থেকে সব ধরনের শত্রুতাপূর্ণ তৎপরতার অবসান হবে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন যে, তার দেশ আজারবাইজানের কাছে আগামী ১৫ নভেম্বরের ভিতরে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দেবে। এছাড়া ১ ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ও কিছু অঞ্চল ছাড়া হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়া ফেডারেশন ১৯৬০ জনের একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করবে এবং তাদের কাছে ক্ষুদ্রাস্ত্র ও ৯০টি আর্মর্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার, ৩৮০টি অটোমোবাইল এবং বিশেষ সরঞ্জাম থাকবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সেখানে শান্তিরক্ষী পাঠাচ্ছে মস্কো।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৬০ জন সেনা এবং তাদের সাথে প্রয়োজনীয় অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামাদি পাঠানো শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পঞ্চম আইএল-৭৬ সামরিক পরিবহন বিমানে করে রুশ সেনাদের নেয়া হয়েছে। রাশিয়ার উলাইয়ানোভস্ক-ভসতোচনি সামরিক বিমান ঘাঁটি থেকে এসব সেনাকে উড়িয়ে নাগার্নো-কারাবাখ এলাকায় নেয়া হয়।