অধীনস্থ কর্মচারীদের শ্রদ্ধা, প্রশংসা ও সম্মান অর্জন করতে চাইলে আদর্শ বস হতে হবে। তাই আদর্শ বস হতে চাইলে আপনি মেনে চলুন এই পদক্ষেপ।
সংগঠিতঃ পছন্দের বসরা তাদের সব কাজ গুছিয়ে করেন। তাঁরা তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজকে সহজ করে দেন। কাজ কমিয়ে দেন এবং সংগঠিত করেন। যাতে কর্মীরা পরবর্তীতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়। এতে করে কাজে ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে। একজনকে দিয়ে দুইজনের কাজ করাতে গেলে তা আপনার কোম্পানির জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে।
নীতি নির্ধারকঃ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন আদর্শ বস কখনই পিছপা হন না। তারা দৃঢ়চেতা হয়ে থাকেন। সিদ্ধান্তে নেওয়ার আগে প্রতিটি দিক সাবধানে বিশ্লেষণ করেন। তারা নিজেদের সম্পর্কেও আত্মবিশ্বাসী। খুব চাপের পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা তাদের মধ্যে থাকে।
ন্যায় বিচারকঃ একজন আদর্শ বস ন্যায় বিচারক হয়ে থাকেন। তিনি সবার সাথে সমান আচরণে বিশ্বাসী। তারা কর্মীদের নিয়ে পক্ষপাতিত্বে লিপ্ত হযন না। বাকিদের চেয়ে কাউকে বেশি সুবিধা দেয় না। তারা তাদের কর্মের জন্য খুব দায়বদ্ধ। একজন আদর্শ বস হিসেবে অফিসের সব কর্মীদের তিনি সমান চোখে দেখেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সঠিক নির্দেশনা প্রদানকারীঃ বসরা তাদের কর্মীদের সঠিক নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেন। একজন আদর্শ বস কঠিন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে পুরো দলকে সমর্থন করেন। এ ধরনের বসদের ওপর কর্মীদের অনেক আস্থা রয়েছে।
প্রশংসা করাঃ আদর্শ বসের আর একটি অন্যতম গুণ প্রশংসা করা। তিনি সবসময় অধীনস্তদের প্রশংসা করেন, উৎসাহ যোগান। ভালো কাজের স্বীকৃতি দেন। ভুল হলেও তিনি প্রকাশ্যে তার ইতিবাচক সমালোচনা করেন। যা তাদের আরো আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
ধন্যবাদ জ্ঞাপনঃ কাউকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানালে তিনি খুশি হয়ে ওঠেন। আদর্শ বসরা সবসময় এই নীতি মেনে চলেন। যা তার অধীনস্তদের কাজ করতে উৎসাহী করে তোলে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন