ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলায়েসি প্রদেশের কালেম্পাংয়ের। সেখানে তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এক নারী। দীর্ঘ সময় পর তার সন্ধান মিলেছে। তবে তা যেনতন কোনো জায়গায় নয়, ওই নারীর খোঁজ মিলেছে আস্ত এক অজগরের পেটের ভেতরে।
ভয়ংকর এই ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের কালেম্পাং গ্রামে। খবর এএফপি’র।
শনিবার (৮ জুন) কালেম্পাং গ্রামের প্রধান সুয়ার্দি রোজি এএফপিকে বলেন, বৃহস্পতিবার ফরিদার স্বামী তাকে না পাওয়ার বিষয়টি জানালে প্রতিবেশীরা ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। পরদিন শুক্রবার তল্লাশি শুরুর একটু পরই তারা একটি অজগর দেখতে পান। অজগরটির পেট অস্বাভাবিক বড় দেখাচ্ছিল। ফলে, তারা সাপটির পেট কাটার সিদ্ধান্ত নেন। পেট কাটতেই ফরিদার মাথা বেরিয়ে পড়ে। পরে অজগরের পেট থেকে বেরিয়ে আসে ফরিদার মরদেহ। অজগরটি ফরিদাকে জামাকাপড়সহ আস্ত গিলে ফেলেছিল।
বনদপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, অজগর কোনও মানুষকে সম্পূর্ণ গিলে ফেলার ঘটনা বেশ বিরল। তবে গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ায় অজগরের হাতে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের তিনাঙ্গিয়া জেলায় একটি অজগর গ্রামের এক কৃষককে পেঁচিয়ে ধরে গিলতে শুরু করে। তখন স্থানীয়রা আট মিটার লম্বা অজগরটিকে মেরে ফেলে। তবে সেই কৃষকও মারা যান।
এর আগে ২০১৮ সালে ৫৪ বছর বয়সী এক নারীকে সাত মিটার লম্বা এক অজগরের পেটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা শহরে এ ঘটনা ঘটেছিল।
তার আগের বছর পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে এক কৃষক নিখোঁজ হন। পরে দেখা যায়, পাম বাগানে একটি অজগর তাকে জীবিত অবস্থায় খাচ্ছে! ওই অজগরটির দৈর্ঘ্য ছিল চার মিটার।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম