আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা নিয়ে তিন দেশের নতুন চুক্তি-অকাসের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরা থেকে রাষ্ট্রদূত তলব করেছে প্যারিস। খবর বিবিসির।
ফ্রান্স২৪ নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, ‘পরামর্শ করার জন্য’ দুই রাষ্ট্রদূতকে প্যারিসে তলব করা হয়েছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত নির্দেশে রাষ্ট্রদূতদের তলব করা হয়েছে। তিনি জানান, ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তির ভয়ঙ্কর পরিণতি বিবেচনায় নিয়ে ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের তলব করা হয়েছে।
চীনকে মোকাবিলায় সম্প্রতি একটি নিরাপত্তা চুক্তি ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। নতুন এ চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয় ফ্রান্সের। ত্রিদেশীয় চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের নকশায় সাবমেরিন তৈরির একটি চুক্তি বাতিল করে।
এর আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরকে ‘পেছন থেকে বা পিঠে ছুরি মারা’ বলে অভিহিত করেন।
তবে হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন এ ঘটনার জন্য দুঃখিত এবং এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য শিগগিরই ফ্রান্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
‘অকাস’ নামের চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন অর্জনে সহযোগিতা করা হবে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গত ৫০ বছরে যুক্তরাজ্যের বাইরে প্রথম তার সাবমেরিন প্রযুক্তি অন্য কাউকে দিতে যাচ্ছে। মূলত বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের প্রভাব কমাতেই এই চুক্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ঘোষণায় চীনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। একে ‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘সংকীর্ণ মানসিকতা’ হিসেবে মন্তব্য করেছে বেইজিং।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই জোট গঠনের কারণে আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর /এমআরবি